| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধাবোধ নেই : ওবায়দুল কাদের 


গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধাবোধ নেই : ওবায়দুল কাদের 


রহমত নিউজ ডেস্ক     03 May, 2023     09:30 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ-অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন।

আজ (৩ মে) বুধবার গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক কোনো অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অথবা অর্পণ এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপি মহাসচিব দুনীতি ও অর্থপাচার নিয়ে কথা বলেছেন! এটা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। তাদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল;  লুটপাট ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। অর্থপাচার মামলায় দন্ডিত হয়ে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র কোকোর পাচারকৃত অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এনেছে সরকার। দুর্নীতি ও অর্থপাচার বিএনপির মজ্জাগত রোগ। জনগণের টাকা বিদেশে পাচারের যে অপসংস্কৃতি বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল তা নির্মূল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।        

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সকল খাতকে একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সকল খাতে ঈর্ষনীয় সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বসভায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তখন এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সুগভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশের মানুষের উপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন ও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের স্টিম রোলার। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সকল খাত। নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের বুটের তলায় পিষ্ট হয় এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখান থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে গঠিত সরকারই হয়ে ওঠে জনগণের সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটতে শুরু করে। 

তিনি আরো বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে এদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশ একের পর এক মাইলফলক অর্জন করেছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারার কারণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বসভায় প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা বলেছেন- ‘করোনার পরেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে; সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের শেখ হাসিনার  মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে একটি মডেল বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে।  বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অগ্রগতিই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। তাদের সময় বাংলাদেশকে চরম ব্যর্থতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে হয়েছিল; বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বিএনপির চোখে অনন্য উচ্চতার এই ছবি ধরা পড়ে না। কারণ তাদের দৃষ্টি অত দূর পর্যন্ত পৌঁছায় না।